![](https://sangbad24online.in/wp-content/uploads/2022/08/20220801_153832.jpg)
শ্রাবণ মাসের তৃতীয় সোমবারে শিবের মাথায় জল ঢালতে কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে জল্পেশের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন ২৫ জন পূর্ণ্যার্থীর একটি দল। দিনটা ছিল রবিবার। ঘড়িতে সময় রাত তখন বারোটা। পূন্যার্থির দলটি গাড়িতে যাচ্ছিল। গাড়ির ভিতর চলছিল ডিজে। গাড়িতে জেনারেটরের ব্যবস্থা ছিল। কোনও ভাবে ওই জেনারেটরে শর্ট সার্কিট হয়। আর তার ফলেই ঘটে বিপদ। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর জখম হন ১৬ জন। তাঁদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি ৬ জনকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
সূত্রের খবর অনুসারে, ২৫ জনের ওই পূণ্যার্থির দল একটি পিকআপ ভ্যানে যাচ্ছিলেন। কয়েকজন পুণ্যার্থীর বক্তব্য অনুযায়ী, জামালদহ -চ্যাংড়াবান্ধা রাজ্য সড়কের ধরলা সেতু পার হওয়ার পরই জেনারেটর থেকে গাড়িতে শর্ট সার্কিট হয়। তখনই ওই ১৬ জন ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। গাড়ির চালকের তৎপরতায় তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে চ্যাংড়াবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
একজন পুণ্যার্থী জানিয়েছেন, ‘আজকে আমরা জল্পেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। আমরা ছিলাম বাইকে। ছোট-ভাইরা ছিল আমাদের সঙ্গে। ওরা গাড়িতে ছিল। আর মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা বাকি ছিল। সেই সময় গাড়িতে লোডশেডিং হয়। তখনই জেনারেটর থেকে কোনওভাবে শর্ট সার্কিট হয়। এর আমরা মন্দিরে না গিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দিই। ভেবেছিলাম জল্পেশে গিয়েই দেখা হবে। কিন্তু হল না।’ মৃত এক ব্যক্তির মামা বলেছেন ‘জল ঢালতে শিবের মাথায় জল্পেশে যাচ্ছিল। জেনারেটরে শর্ট সার্কিট হয়ে দশ জন মারা গিয়েছে বলে শুনেছি। এর মধ্যে আমার ভাগ্না রয়েছে।’