September 22, 2023

পুরনো প্রেমের টানে সত্তর বছরের বৃদ্ধার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ৩৬ বছর বয়সী যুবক। বর্তমানে এই অসমবয়সী প্রেম কাহিনীর এহেন পরিণতি নিয়ে বর্তমানে উত্তাল সামাজিক মাধ্যম।

প্রেম যে দেশ কাল কিংবা বয়স কোনো কিছুরই গণ্ডি মানেনা সেটা বহুজন চর্চিত। কিন্তু পাকিস্তানের এই ঘটনা এই কথা আবার করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। প্রেমের ক্ষেত্রে ‘দিল তো বাচ্চা হ্যা জি’। প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়ে করার ঘটনা বিরল নয়। অনেক জায়গায়তেই এই প্রথা প্রচলিত। বর্তমানের আধুনিক সমাজে বিয়ে কিংবা প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না। শুধুমাত্র সেলিব্রিটিরাই নয় সাধারণ মানুষও এখন এই ট্রেন্ডে বিশ্বাসী। তবে পাকিস্তানের এই ঘটনাটি অনেকদিক থেকেই আলাদা।

কৈশোর বয়সেই ৩৫ বছরের কিসওয়ার বিবির প্রেমে পড়েছিলেন ইফতিকার। বাড়িতে জানালেও পরিণতি পাইনি তাঁদের সেই সম্পর্ক। বাড়ি থেকে সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি ইফতিকারের বাড়ির লোকেরা। জোর করে বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। ছয় সন্তানের বাবা হওয়ার পরেও পুরনো প্রেমকে ভুলতে পারেনি ইফতিকার। বিয়ের পরেও যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন তিনি। অন্যদিকে একমাত্র প্রেমিক ইফতিকারকেই বিয়ে করতে বদ্ধ পরিকর ছিলেন কিসওয়ার। ফলে এতদিন ধরে অবিবাহিতই ছিলেন ৭০ বছরের এই বৃদ্ধা। দেখা সাক্ষাৎ হামেশাই চলছিল তাঁদের। তাঁদের মেলামেশা করার ঘটনা জানাজানি হয়ে যায় বাড়িতে। এই অবস্থায় স্বামীর বহুবছরের অপূর্ণ ইচ্ছাকে পূর্ণ করার জন্য সচেষ্ট হন ইফতিকারের বর্তমান স্ত্রী।

নিজে উদ্যোগ নিয়ে কিসওয়ারের সাথে বিয়ে দেন ইফতিকারের স্ত্রী। পুরনো প্রেম এতবছর পরে এইভাবে পূর্ণতা পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি নবদম্পতি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নববিবাহিত বধূ কিসওয়ার লজ্জিতভাবে জানিয়েছেন করাচি এবং মারিতে মধুচন্দ্রিমায় যাবেন তাঁরা। ইফতিকার বর্তমানে নতুন বৌকেই নিয়েই সংসার করবেন বলে জানিয়েছেন। ইফতিকারের বাবা এবং মাও সন্তানের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।প্রাচীন প্রবাদ অনুযায়ী ‘জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে’। কার সঙ্গে কোথায় কীভাবে বিয়ে হবে সেটা স্বয়ং ভগবানই জানেন। পাকিস্তানি এই দম্পতির ক্ষেত্রে ভগবানের আশীর্বাদ ছিল বলেই এতো বছর অপেক্ষার পরে কাছাকাছি আসতে পেরেছেন এই অসমবয়সী জুটি।