April 20, 2024

উপকারী শাকসবজির মধ্যে কুমড়ো অতি পরিচিত একটা সবজি। কমলা রঙের এই সবজিটির পুষ্টিগুণ প্রচুর। বাজারজাত রাসায়নিক সার দেওয়া সবজির তুলনায় বাড়িতে প্রাকৃতিক উপায়ে এই সবজি চাষ করলে এর পুষ্টিগুন বজায় থাকে।

আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, প্রোটিন এবং ফাইবারের উৎস হল কুমড়ো। এমনকি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাবও পূরণ করে এই সবজিটি। পাকস্থলীকে বিশুদ্ধ করে পিত্ত এবং বায়ুর ব্যাধি দূর করতে সাহায্য করে এই সবজি। এছাড়া মস্তিকের জন্যও এটি খুব উপকারী।

বহুল উপকারী এই সবজিটিকে বাড়ির টবে খুব অনায়াসে চাষ করা যাবে।

প্রথমে নার্সারি থেকে কুমড়োর বীজ কিনে এনে রাত্রিবেলা জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর পরে সকাল বেলা মাটির মধ্যে সেই বীজ পুঁতে দিতে হবে।

বেশ বড়ো সাইজের টব জোগাড় করে দোআঁশ মাটির সাথে গোবর সার মিশিয়ে টবের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে।টবের পরিবর্তে ব্যবহার করা যাবে সিমেন্টের ব্যাগও। মাটি তৈরী করে নেওয়ার পরে আগের দিন ভিজিয়ে রাখা বীজ পুঁতে দিতে হবে।

প্রতিদিন অল্প করে জল দিতে হবে এবং কয়েকদিন ছাড়া ছাড়া গাছের গোড়া থেকে কিছুটা দূরে খোল পচা জল দেওয়া যেতে পারে। সার হিসেবে রান্নার ফেলে দেওয়া খোসা পচা সার হিসাবে দেওয়া যেতে পারে। পোকামাকড়ের হাত থেকে গাছকে বাঁচাতে নিম তেল স্প্রে করে দেওয়া যেতে পারে। বীজ থেকে চারাগাছ বেরোলে তাকে সূর্যের প্রখর তেজে না রেখে হালকা ছায়ায় রাখতে হবে। কারণ অতিরিক্ত তেজ কচি চারার পক্ষে উপযোগী নয়।

কুমড়ো যেহেতু লতানো গাছ সেকারণে টবের চারিদিকে খুঁটি বেঁধে দিতে হবে যাতে সেই খুঁটি বেয়েই গাছ উপরের দিকে উঠতে পারে।

এইভাবে সঠিক উপায়ে এবং সঠিক পরিচর্যার দ্বারা খুব সহজেই কুমড়ো বাড়ির তবে চাষ করা সম্ভব। সারাবছর রাসায়নিক সার বিহীন সবজি খাওয়ার সুফল ভোগ করা যাবে।