April 20, 2024

বাড়িতে জায়গার অভাবে অনেকেই সবজি কিংবা ফলের চাষের ইচ্ছে থাকলেও করতে পারেন না। তবে জমি ছাড়াই বাড়িতেও সবজি অথবা ফলের চাষ সম্ভব। পরিচিত ফলের মধ্যে শসা বাড়ির ছাদে চাষ করা যেতে পারে।

শসা একটি অত্যন্ত উপাদেয় এবং পুষ্টিকর ফল। সবুজ রঙের লতানো উদ্ভিদ থেকে জন্মানো এই ফলটির অনেক উপকারিতা রয়েছে। অনেক রোগের ক্ষেত্রেই শসা খুব কার্যকরী। শরীরের জলশূন্যতা প্রতিরোধ, কিডনির পাথর, কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণ, ওজন হ্রাস সহ একাধিক ক্ষেত্রে শসা খুব উপকারী। এর মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন বি, থিয়ামিন (বি১), রাইবোফ্লাবিন (বি২), নিয়াসিন (বি৪) সহ একাধিক ভিটামিনের কারণে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়। রূপচর্চাতেও শসার ব্যবহার অনস্বীকার্য।

বাজারজাত শশার পরিবর্তে বাড়িতে উৎপাদিত শসার উপকারিতা আরো বেশি। বাড়ির ছাদে মাচা তৈরী করে তার উপরেই ফলানো যাবে এই ফলটি। এই ফলটি সারাবছর পাওয়া গেলেও মূলত শীতকালেই এর চাষ হয়। খুব সহজ পদ্ধতিতে বাড়ির ছাদে মাচা তৈরী করে শসা চাষ করা যেতে পারে।

১. বাড়িতে শসা চাষ করতে হলে প্রথমে একটি সিমেন্টের বস্তা সংগ্রহ করতে হবে। এর পরে এর মধ্যে ভরে দিতে হবে পরিমাণমতো মাটি।
২. পদ্ধতির দ্বিতীয় পর্যায়ে মাটিকে ভালো করে জল দিয়ে ভিজিয়ে শসার বীজগুলি লাগিয়ে দিতে হবে। শসার বীজ থেকে চারা বেরোতে অনুমানিক সাত থেকে আট দিন লাগবে।

৩. গাছের চারা বেরোনোর পরে সঠিকভাবে গাছের পরিচর্যা করতে হবে ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত। এইসময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে চারা গাছটি উপযুক্ত জল, বাতাস কিংবা খাদ্যের অভাবে মরে না যায়।

৪.এর পরে গাছটি ধীরে ধীরে বড়ো হতে থাকলে সুতোর সাহায্যে মাচার সঙ্গে ভালো করে বেঁধে দিতে হবে। গাছটি যত লতানোর মতো পরিসর পাবে ততই ভালো। তাই সেই বুঝেই জায়গা বাছতে হবে।

এইরকম পদ্ধতি অবলম্বন করলে অতি সহজেই রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে ঘরের ছাদেই শসা চাষ সম্ভব। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরী এই ফলের পুষ্টিগুণ নিঃসন্দেহে বাজারের থেকে অনেকটাই বেশি।