March 28, 2024

সারা বছর বাড়ির টবে মিষ্টি কুমড়ো ফলানোর সহজ পদ্ধতি এখন হাতের মুঠোয়। বাজারে বিক্রি হওয়া রাসায়নকিভাবে ফলানো কুমড়োর থেকে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া কুমড়োর পুষ্টিগুণ অনেকটাই বেশি। এইভাবে চাষ করলে ফলন হবে অনেক বেশি।

পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজিতে এমন কিছু উপাদান যা অসুখ বিসুখকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়োতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার দরুণ রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর মিষ্টি কুমড়ো ক্যান্সার প্রতিরোধেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। মিষ্টি কুমড়োর কারণে হৃদরোগের অসুখ থেকেও পাওয়া যায় মুক্তি। কুমড়োর মধ্যে আঁশ থাকার কারণে এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সহায়ক। জিংক ও আলফা হাইড্রোক্সাইডের উপস্থিতির কারণে এই ইমিউনিটিকে ভালো করে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

মিষ্টি কুমড়োর জন্য প্রয়োজন দোআঁশ এবং গোবর সার মেশানো মাটি। মাটি ভিজিয়ে নেওয়ার পরে তিন থেকে চারটি কুমড়োর বীজ মাটিতে পুঁতে দিতে হবে। ৩০ থেকে ৩৫ দিন পরে চারা বড়ো হলে অন্য জায়গায় পুঁতে দেওয়া যাবে। তবে বড়ো হওয়ার সময় মাচা বেঁধে দিতে হবে নইলে গাছ ভেঙে পড়তে পারে।

গাছের পুষ্টির জন্য দিন কয়েক পর পর জৈব সার এবং জল দেওয়া দরকার। জৈব সারের মধ্যে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, নাইট্রেট যাতে থাকে তার দিকে নজর রাখতে হবে । বর্ষাকালে এই সবজি চাষ করলে জলের অভাব থাকবে না। ৪৮ দিন পর থেকে আকারে ছোট ছোট কুমড়ো জন্মাবে। তখন গাছের গোড়ায় জৈব সার দিতে হবে। ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে গাছ থেকে জন্মানো কুমড়ো একেবারে খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠবে।