March 24, 2024

বেগুন একটি অন্যতম উপকারী সবজি। এর পুষ্টিগুণ প্রচুর। এখন সারা বছর বাজারে সস্তায় পাওয়া গেলেও বেগুন মূলত শীতকালীন সবজি। তবে বাজারের রাসায়নিক জাত বেগুনের থেকে বাড়ির টবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পাওয়া সবজির উপকারিতা অনেক বেশি। তবে বেগুনের কারণে অনেকেরই শরীরে আল্যার্জি হয়। তাঁরা এই সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।

বেগুনের অনেক উপকারিতা রয়েছে। বেগুনের মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী। এছাড়া ত্বক ভালো রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার। উপকারী এই সবজিটি শরীরের খারাপ কোলেস্টরলকে কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখে। এছাড়া বেগুনে ক্যালোরি কম থাকায় স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিরা ওজনের বাড়ার ভয় না করে বেগুন খেতে পারেন। বর্তমানে ইনসোমিয়া কিংবা ঘুম না আসার সমস্যা অনেকের মধ্যে রয়েছে। আয়র্বেদিক মতে বেগুন খেলে এই সমস্যার সমাধান হয়।

বাড়িতে বেগুন চাষ করতে গেলে প্রথমে টব কিংবা বালতির প্রয়োজন।

১. বালতি কিংবা টবের মধ্যে দোআঁশ এবং গোবর সার মিশিয়ে বেগুন চাষের জন্য জমি তৈরী করে নিতে হবে।

২.নার্সারি কিংবা কোনো ভালো দোকান থেকে বেগুন গাছের চারা নিয়ে এসে মাটিতে ভালো করে পুঁতে দিতে হবে। তবে বেগুনের বীজ কিনে এনে তার থেকে চারা বেরোলে সেই চারাও ব্যবহার করা যাবে। তবে একটি টবের মধ্যে দুটির বেশি চারা একসাথে বসানো উচিত নয়।

৩. চারা গাছ মাটিতে ভালো করে পুঁতে দেওয়ার পরে জল দিয়ে ভালো করে মাটি ভিজিয়ে দিতে হবে। এইভাবে গাছের নিয়মিত পরিচর্যা করলে ১৫ দিনের মধ্যে গাছটি বেশ বড় হয়ে যাবে।

৪. তবে বেগুন গাছে পোকার উপদ্রব খুব বেশি পরিমানে হয়। সেই জন্য পোকার উপদ্রব থেকে গাছকে বাঁচানোর জন্য ব্যবহার করতে হবে রাসায়নিক সার। সারের জন্য প্রয়োজন ১০ গ্রাম ফুরাডান যা গাছের গোড়ায় দিয়ে দিতে হবে। এর পরে একে একে ৬ গ্রাম ভিটামিন গুঁড়ো , ১৫ থেকে ২০ গ্রাম টিএসপি সার এবং ৮ থেকে ১০ গ্রাম ইউরিয়া সার দিতে হবে যা গাছের নাইট্রোজেনের অভাব পূরণ করবে। ৮ থেকে ১০ গ্রাম পটাস সার দেওয়ার পরে গোবর সার এবং মাটি দিয়ে গাছের গোড়াকে ভালো করে ঢেকে দিতে হবে।

৫. ৩০ দিন পরে বেগুন গাছ বড় হয়ে গেলে মাচার সাহায্যে বেঁধে দিতে হবে। ৪০ থেকে ৫০ দিন পর খাওয়ার উপযোগী বেগুন ফলবে।