![](https://sangbad24online.in/wp-content/uploads/2022/08/20220326_152416.jpg)
ভারতের সবথেকে বড় পুঁজিপতি হলেন মুকেশ আম্বানি। তিনিই ভারতের সবথেকে ধনী ব্যক্তি। তার ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ সাধারণ মানুষ হয়তো কল্পনা করতে পারেন না। তাঁর ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির কারণে সম্পদের পরিমাণ প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিলাসবহুল জীবন যাপনের জন্য মুকেশ আম্বানির পরিবার সংবাদের শিরোনামে থাকেন। সম্প্রতি মুকেশ আম্বানি আরও একবার খবরের শিরোনামে এলেন তাঁর নতুন গাড়ির কারণে। এই গাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেকোনো রাষ্ট্রপ্রধানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমান। আম্বানির বাড়িতে সমস্ত রকমের বিলাসবহুল গাড়িই আছে। তবে এইবারের গাড়িট একদম অন্যরকম।
এই গাড়ির শোরুম মূল্য বর্তমানে এইট ৮.৭ কোটি টাকা। বিএমডব্লিউ ৭ সিরিজের এই গাড়ির বিশেষত্ব হল চরম নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণেই গাড়িটিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। ভি আর সেভেন ব্যালেস্টিক মানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে এই গাড়িতে। পাশাপাশি জানালায় ব্যবহৃত হয়েছে ৬৫ মিলিমিটার পুরু বুলেট প্রুফ কাঁচ। যার ওজন ১৫০ কেজির কাছাকাছি। এ কে ফরটিসেভেন দিয়ে ফায়ার করা বুলেটও ভাঙতে পারবেনা এই গাড়ির কাঁচ। এই গাড়ি গ্রেনেড আক্রমণ থেকেও রক্ষা করবে আরোহীকে। সতেরো কেজি ওজনের টিএনটি বিস্ফোরকও এই গাড়ি প্রতিহত করতে পারবে। গাড়ি ও আরোহী উভয়কেই রক্ষা করবে। উচ্চ তাপমাত্রার অগ্নি প্রতিরোধক বানানো হয়েছে গাড়ির ট্যাংক। যে কোন রাসায়নিক হামলা থেকেও ব্যক্তিকে রক্ষা করবে এই গাড়ি। গাড়ির মধ্যে থাকা বিশেষ চেম্বারে অক্সিজেনের যোগান থাকবে। যেজন্য কোন রাসায়নিক হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম এই গাড়ি। এছাড়াও গাড়ির মধ্যে স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাপনা ও মজবুত থাকবে। গাড়িতে ব্যবহৃত চাকার গঠনগত পরিকাঠামোও চোখে পড়ার মতো। ডাবল লেয়ার দেওয়া টাওয়ারের এই চাকা বুলেটপ্রুফ। কোন কারণে বুলেট লেগে যদি চাকা ক্ষতিগ্রস্তও হয় তাহলে বাড়বে গাড়ির স্পিড। ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ছুটবে গাড়ি। গাড়ির ইঞ্জিন ৫৪৪ বিএইচপি শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম। কারন গাড়ির ইঞ্জিন টুইন টার্বো সিক্স পয়েন্ট জিরো লিটার বি টুয়েলভ পেট্রোল ইঞ্জিন।
গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকছে ঘন্টায় ২১০ কিলোমিটার। ৬.২ সেকেন্ডে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি অর্জন করতে সক্ষম এই গাড়ি। স্যাটেলাইট দ্বারা ট্র্যাক করা যাবেনা এই গাড়িকে। বিপদকালীন অবস্থায় আপদকালীন সংবাদ দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে এই গাড়িতে। এই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন খরচ পড়ছে ১.৬ কোটি টাকা।
এই গাড়ি নিরাপত্তাব্যবস্থা দেশের প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির নিরাপত্তাব্যবস্থার সমকক্ষ। আম্বানির ড্রাইভার এর বেতন মাসে দু লক্ষ টাকা। তাঁর ড্রাইভার নিয়োগের বিশেষ পদ্ধতি আছে। সেই অনুযায়ী গাড়ির চালক নির্বাচন করা হয়। গাড়ি চালকের দরকার হলে আম্বানি বেসরকারি সংস্থাকে চালক খোঁজার দায়িত্ব দেন। সেই চালককে নানান ট্রেনিং দেওয়া হয়। তারপর দিতে হয় হাজারো টেস্ট। সেই টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই চাকরি হয় আম্বানির গাড়ি চালকের।