বর্তমান সময়ে যে সমস্ত ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয় তার মধ্যে রানু মন্ডলের (Ranu Mondal) ভিডিওগুলি অন্যতম। একটা সময় এই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। রানাঘাটের ভিখারিনী থেকে হয়ে উঠেছিলেন প্লেব্যাক সিঙ্গার। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে তিনি আবার নিজের জায়গায় ফিরে এসেছেন। রানাঘাটের এক চিলতে ঘরে কোন রকমে তাঁর দিন যাপন হয়। মাঝে মধ্যে ইউটিউবারদের দৌলতে লাইভে উঠে আসেন। বলাবাহুল্য নিজেদের কনটেন্টের খোঁজে এই ইউটিউবাররা হানা দেয় রানু মন্ডলের বাড়িতে। আর তখনই বিভিন্ন রকমের মজাদার ভিডিও তৈরি করা হয় তাঁকে নিয়ে। আর এই সমস্ত ভিডিওগুলি দেখে খুবই আনন্দবোধ করেন নেটিজেনরা। আর তাই রানু মন্ডল হয়ে উঠেছেন আজকালকার দিনের হাসির খোরাক।
সম্প্রতি আবারো ইউটিউবাররা হাজির হয়েছিলেন রানু মন্ডলের বাড়িতে। আর সেখানেই তাঁকে নিয়ে তৈরি হয় আর এক মজাদার ভিডিও। ভিডিওতে রানুদিকে নাচ গান করতে বলা হলে তিনি নাচ করে দেখান। এরপরই ইউটিউবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কোথায় প্রস্রাব করেন। উত্তরে তিনি বলেন বারান্দাতে করে তিনি জল ঢেলে দেন। আর এরপরই আসে চমক। রানু মন্ডলকে হঠাৎ করেই ইউটিউবার বলে বসেন তাঁর মাথায় নাকি উকুন আছে, রানাঘাট স্টেশনে ভিক্ষা করার সময় তাঁর মাথায় উকুন এসেছে। আর এই কথাতেই রীতিমতো রেগে আগুন হয়ে যান সকলের প্রিয় রানুদি। অত্যন্ত রাগের সাথে ইউটিউবারকে বলে মাথা থেকে একটা উকুন বের করে দেখা। এমনকি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতেও শোনা যায়।
তবে রানুদি শুধুমাত্র গালিগালাজই করেননি, চড়ও মেরে বসেন ওই যুবককে। তবে শোনা যায় পুরো ভিডিওটি মজার জন্য বানানো হয়েছে। তবে মজার জন্য বানানো হলেও রানু মন্ডল কিন্তু সত্যি সত্যিই রেগে গিয়েছিলেন। এটা তিনি নিজেই স্বীকার করেন। এমনকি তাঁকে শালা মিথ্যাবাদী বলে চিৎকার করতেও শোনা যায়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও আপলোড হওয়ার সাথে সাথে একদল নেটিজেন নিন্দা করেন। অনেকেই বলেন এই ধরনের কুৎসিত কনটেন্ট না বানানোই উচিত।