বর্তমান সময়ে চাকরির (Job) অর্থাৎ কর্মসংস্থানের দুর্দশার কথা কারোরই অজানা নয়। হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও চাকরি জোগাড় করতে পারেনি। অর্থ উপার্জন করে জীবন চালানোর জন্য বাধ্য হয়েই বেছে নিতে হয়েছে বিকল্প পথ।আশেপাশেই এমন উদাহরণ অনেক দেখতে পাওয়া যায়। আজকের এই প্রতিবেদনে তেমনই এক হার না মেনে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকা যুবকের কাহিনী রইল।
এই বিষয়টি অনস্বীকার্য যে উপযুক্ত চাকরি জোগাড় করতে না পারায় জনসাধারণের মনে ব্যবসার (Business) প্রতি আগ্রহ বর্তমান সময়ে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মানুষকে আরো বেশি করে ব্যবসার মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়ে ওঠার প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। হেমন্ত মল্লিক এমনই একজন মানুষ যিনি চাকরি করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়ে আজ ব্যবসার মাধ্যমে নিজেকে সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে চলেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা হেমন্ত মল্লিক সমস্ত আর্থিক প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে বাংলায় স্নাতকোত্তর করেছেন, ভালো নম্বর পেয়ে তিনি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে চাকরি পাওয়ার অনেক চেষ্টা করেও সফল না হওয়ায় তিনি গৃহশিক্ষকতা শুরু করেছিলেন। তবে গত দুই বছরে করোনার প্রকোপে তাতেও তিনি অসুবিধের সম্মুখীন হন। জীবনযাপনের জন্য বাধ্য হয়ে অবশেষে হেমন্ত চায়ের দোকান খোলেন। ২৮ বছর বয়সী উচ্চশিক্ষিত এই যুবক প্রথমদিকে নিজের দোকান নিয়ে সঙ্কোচে থাকলেও এখন জোরকদমে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন। এর সাথেই তিনি গৃহশিক্ষকতাও চালিয়ে যাচ্ছেন, সকালে দোকান খোলার আগে ও সন্ধেবেলা দোকান বন্ধ করার পর তিনি ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছেন। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর-পুটশুড়ি রাস্তায়, পাতুন পাঁচ মাথা মোড়ে চায়ের দোকান চালিয়ে হেমন্ত মল্লিক আপাতত প্রাণপনে নিজের লড়াই জারি রেখেছেন।