কয়েকদিন হলো আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন লতা মঙ্গেশকর। তবে তার শরীরটা স্বর্গলোকে পৌঁছেছে, তার সমস্ত গান সমস্ত সুখ সমস্ত গানের কথা ফেলে রেখে গেছেন। আমাদের মাঝখানে তিনি ছিলেন একজন ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গার, তবে এই সুরসাধিকা একেবারে খুব সাধারণ জীবন যাপন করতেন। দুদিকে বিনুনী করে মাথার মাঝখানে একটি টিপ পরে বেশিরভাগ সময় হালকা রঙের শাড়ি পরে তিনি সকলের সামনে আসতেন।
৯২ বছর পর্যন্ত তার বার্ধক্য জনিত কারণ ছাড়া গলার আর কোন সমস্যা ছিল না। কীভাবে এত সুন্দর গলাকে তিনি রেখেছিলেন তার পরিচয় পাওয়া যায় তার প্রাণের পরে ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ভিডিও দেখে তিনি আজীবন গান গেয়ে গিয়েছিলেন শেষের দিকে তিনি অবশ্য গান রেকর্ডিং করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি নিয়মিত রেওয়াজ করতেন। নিয়মিত রেওয়াজের ফলই বোধহয় তার অসাধারণ কোকিলকণ্ঠী গানের গলা।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি ১৯৫০ সালের ভিডিও যেখানে দেখা যাচ্ছে, লতা মঙ্গেশকরের বয়স মাত্র একুশ বছর। ২১ বছরের ছোট্ট কিশোরী তানপুরা হাতে গাইছেন ক্লাসিক্যাল গান। ওই টুকু বয়সেই তার গলার দখল দেখে সত্যিই অবাক হতে হয়। এই জন্যই বুঝি তিনি সকলের প্রিয় লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যু মানুষের দেহকে করে দেয়, কিন্তু সেই মানুষের আজীবন করে যাওয়া কাজ থেকে যায় প্রত্যেকটি মানুষের মনের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কত কিছুইনা ভাইরাল হয়, এই অনুষ্ঠানগুলো টেলিভিশনে পর্দায় এক সময় দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোই থেকে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দাতে ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। তাই আর দেরি না করে চটজলদি Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ গানের ভিডিও –