গত বছরের মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছিলেন ইরফান খানও। বিনোদন জগতে সে যেন এক শোকের ছায়া নেমে আসে তখন। প্রতিভাবান এই অভিনেতার মৃত্যুতে দর্শকরাও চোখের জলে বিদায় জানিয়েছিলেন তাঁকে। ইরফান খান শিখিয়েছেন, স্ট্রাগল করা লজ্জাজনক নয়। বরং স্ট্রাগল দিনগুলিতে শিরদাঁড়া ঠিক রেখে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। তাঁর অভিনয় জীবনে তাঁকে অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে এবং সেই থেকেই শিক্ষা নিয়েছেন তিনি।
রাজস্থানের ছেলে ইরফান। জয়পুর শহরে তিনি ইলেকট্রনিক্সে ডিপ্লোমা করেন। তারপর প্রশিক্ষণের জন্য মুম্বই যান। প্রশিক্ষণ পর্বে তাঁকে হাতেকলমে কাজও করতে হত। একবার তিনি রাজেশ খান্নার বাড়িতে গিয়েছিলেন এসি ঠিক করতে। আর সেই যাওয়ায় তাঁর জীবনের গতিপথ বদলে দেয়, এক সাক্ষাৎকারে ইরফান বলেন অভিনেতা নাসিরউদ্দিনকে।
একদিন রাজেশ আশীর্বাদ ভবনে তিনি যান, শীতাতাপ নিয়ন্ত্রনকারী যন্ত্র সারাতে। সেদিন রাজেশ বাবুর ঘরের পরিচারিকা খুলে দিয়েছিলেন তাঁর জন্য দরজা। তাঁর কাছে নিজেকে একজন এসি সরানোর মিস্ত্রি হিসেবে পরিচয় দিতে তাঁর কিন্তু কিন্তু বোধ হচ্ছিল। এরপরই তিনি ঠিক করেন তিনি আর শুধু টাকার জন্য কাজ করবেন না। তাঁর যেটা ভালো লাগবে সেটাই করবেন।
তাই শত প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি ভর্তি হন ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা। পাস করেও কম স্ট্রাগল করতে হয়নি। কাজের খোঁজে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ১৯৮৭ সালে এক ধারাবাহিকে কাজ করেন তিনি। ধারাবাহিকটির নাম শ্রীকান্ত। এরপরের বছরই ১৯৮৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর প্রথম ছবি সালাম বোম্বে।