অবশেষে থেমে গেল কোকিল কণ্ঠীর গলা। ৯২ বছর বয়সে চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। মুম্বাইয়ের ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সুর সম্রাজ্ঞী। কিছুটা সুস্থও হয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে। অবশেষে ডাক্তারদের চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন কিংবদন্তি গায়িকা। তাঁকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই।
তবে এতো নাম-যশ, খ্যাতি তিনি কিন্তু সহজ ভাবেই পাননি। একদিকে যেমন তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশে-বিদেশে। ঠিক তেমনই তাঁর শত্রুও বেড়েছে। আর এসকল সব ঘটনাই জানা গিয়েছে পদ্মা সচদেবের লেখা ‘লতা মঙ্গেশকর:অ্যয়সা কাঁহা সে লাউ’ গ্রন্থে। যেখানে জানা যায় যে, ১৯৬২ সালে নাকি খাবারে বিষ মিশিয়ে লতা মঙ্গেশকরকে (Lata Mangeshkar) খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
হঠাৎ করেই একদিন ভোরে পেটের যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকেন গায়িকা। এরপর সবুজ বমিও করেন। যথারীতি বাড়িতে ডাক্তার আসেন। এমনকি এক্স-রে করেন। আর সেই রিপোর্ট থেকেই জানা যায় যে, গায়িকার পাকস্থলীতে বিষ রয়েছে। সেসময় দাঁড়িয়ে বিষক্রিয়াতে একেবারেই অবশ হয়ে গিয়েছিল তাঁর হাত পা। নাড়ানোর ক্ষমতা টুকুও ছিল না তাঁর।
অবশেষে দিন তিনেক মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেন। এরপর দিন দশেক পর অবস্থার উন্নতি হয়। তবে, বেশ অনেকদিন পর্যন্ত গরম কোনো খাবার খেতে পারতেন না লতাজী (Lata Mangeshkar)। তবে, আসল দোষী কে জানা না গেলেও ওই বইতে জানা গিয়েছিল লতাজীর রাঁধুনি একদিন আচমকাই কোনো টাকাপয়সা না নিয়ে কাজ ছেড়ে চলে যান। তবে, ওই রাঁধুনি শুধু লতা মঙ্গেশকরের না আরও অনেক বলি সেলিব্রেটির বাড়িতেও কাজ করেছেন।
এই ঘটনার পর বিখ্যাত গীতিকার মজরুহ সুলতানপুরী লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) সঙ্গে এসে অনেকটা সময় কাটাতেন। এমনকি লতাজীকে দেওয়া খাবার তিনি আগে টেস্ট করতেন। এভাবেই সে জাতটায় বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন গায়িকা।