বাংলা ছোটপর্দার জগতের দুই পরিচিত মুখ কৌশিক দাস (Koushik Das) ও অভিনেত্রী দীপশ্বেতা মিত্র (Deepsheta Mitra)। সাধারণ মানুষ তাঁদের চেনে ‘আলোছায়া’ ধারাবাহিকের বাবান ও রুচিরা নামে। জি বাংলার এই ধারাবাহিকে তাঁদের সম্পর্ক ছিল দেওর-বৌদির। একসাথে কাজ করতে করতেই মন দেওয়া-নেওয়ার পর্ব সাঙ্গ হয়ে যায়।
করোনার এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে নিমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে অনেককেই কাটছাঁট করে বাদ দিতে হলেও পূর্বনির্ধারিত দিনেই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে এই তারকা-জুটির। পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাক্ষী রেখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন কৌশিক ও দীপশ্বেতা।
কিছুদিন আগে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রাজকুমার রাও দীর্ঘদিনের প্রেমিকার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁদের বিয়ের দিন প্রেমিকা পত্রলেখার ওড়নায় লেখা ছিল ‘আমার পরাণ ভরা ভালোবাসা তোমায় সমর্পণ করিলাম’। সেই সাজ অনুকরণ করেছিলেন দীপশ্বেতা, তাঁর ওড়নাতেও লেখা ছিল একই কথা। সাথে সাবেকি বাঙালি সাজে সেজেছিলেন বর-কনে দুজনেই। লাল রঙের বেনারসী ও মানানসই ভারী গয়না পরেছিলেন দীপশ্বেতা। মাথায় সাদা শোলার মুকুট ও যথোপযুক্ত মেকআপে তাঁকে দুর্ধর্ষ দেখাচ্ছিল। কৌশিকের পরনে ছিল ক্রিম রঙের ধুতি-পাঞ্জাবি। বিয়ের সময় দুইজনের গলায় ছিল মোটা লাল রঙের গোলাপের মালা।
জীবনের এই নতুন শুরুর দিনে স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খুশি ছিলেন কৌশিক ও দীপশ্বেতা। সদ্যবিবাহিত দম্পতিকে মন থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্যরা। দীপশ্বেতা বলেছেন,’প্রত্যেকটা মেয়ে এই দিনটার অপেক্ষাতেই থাকে।’ কৌশিক জানিয়েছেন,’ওকে দেখে আমি তো জাস্ট ছিটকে গেছি, দারুণ লাগছে।’ বর-কনে দুজনেই বলেছেন,’এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম।’ কৌশিকের কাছে এই দিনের অনুভূতি এখনও ‘অবিশ্বাস্য’। এই মুহূর্তে হানিমুনে যাওয়ার পরিকল্পনা করা না হলেও করোনার প্রকোপ খানিক কমলে তাঁরা দূরে কোথাও ছুটি কাটাতে যাবেন।