সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ভক্তদের সঙ্গে তারকাদের সংযোগ বাড়লেও তার জন্য অনেক অসুবিধার সম্মুখীনও হতে হয়। হামেশাই তাঁদেরকে ট্রোলিং ও সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। কমেন্ট বক্সে প্রায়ই কটাক্ষ ও বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করা হয় তাঁদের উদ্দেশ্যে। কখনও কখনও এই সব বিষয়ের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, যার ফলে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব পড়ে।
সম্প্রতি এই রকমই এক ঘটনা ঘটেছে ছোটপর্দার পরিচিত মুখ সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের (Sudipa Chatterjee) সাথে। তিনি বহু বছর ধরে জি বাংলার জনপ্রিয় রান্নার শো ‘রান্নাঘর’-এর সঞ্চালিকার ভূমিকায় রয়েছেন। জনপ্রিয় অভিনেতা অঙ্কুশের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে শুধু সুদীপা ক্যাপশনে লিখেছিলেন,’অন্য মায়ের কাছ থেকে পাওয়া ভাই।’ ছবিতে সুদীপা একটি হালকা কমলা রঙের ঢাকাই শাড়ি ও তার সঙ্গে রুপোলি রঙের এক সুন্দর হার পরেছিলেন।
এক অনুরাগী কমেন্ট বক্সে জিজ্ঞেস করেন,’শাড়িটা কি ঢাকাই? নেকলেসটা কি রুপো?’ আর এই প্রশ্নে আচমকাই রেগে যান সুদীপা, তিনি জবাবে লেখেন,’আমি জানিনা- বাংলা ভাষাটা আজকাল এত কঠিন হয়ে গেছে- কারো কারো কাছে,যে সহজ সরল বাংলা ভাষা বা সামান্য ইংলিশ তারা বোঝেন না। বেশ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যে যাচ্ছি- সে তো বোঝাই যাচ্ছে। কোভিড হয়তো জয় করে নেবো,কিন্তু অশিক্ষা আর কুরুচি- জয় করবো কিভাবে? আমি লিখেছিলান আমি নকল জুয়েলারি পরি না। এর মধ্যে রুপো ও সোনা দুই আছে। মানুষ সত্যিই অশিক্ষিত হয়ে গেছে।’
সুদীপার এহেন জবাবে রুষ্ট হয়েছেন তাঁর ভক্তকূল। আর সেই নিয়েই সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়। একজন লিখেছেন,’আপনি এত নিষ্ঠুর কেন? সামান্য প্রশ্নের উত্তরে এরকম বাজে ব্যবহার করবেন!’ অন্য আরেকজন লেখেন,’একটা কথা মনে রাখবেন অহংকার পতনের কারণ, আপনার যা আছে সেটা নিয়ে এতো অহংকার না করে সেটাকে কাজে লাগান’। এক অনুরাগীর মতে, ‘আপনাকে চিরকাল ভালো লাগতো। রান্নাঘরের সব প্রোগ্রাম গুলো সময় বার করে দেখতাম, কী মিষ্টি ব্যবহার,সেটা শিখতাম ও। কিন্তু আজ বুঝলাম পুরোটাই নকল’। আরেকজনের মতে,’মানুষের জন্যই এতো ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন, তারা সরে গেলে বড় বড় কথা আসবে তো!’
তবে পরবর্তীতে সুদীপা সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে কমেন্টেই লেখেন,’না,না। একদম ভুল হয়ে গেছে। আমি অত্যন্ত লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি ওনাকে রিপ্লাই করতে চাইনি। অন্য একজনকে রিপ্লাই করতে গিয়ে,ওনাকে ট্যাগ হয়ে গ্যাছে। খুবই দুঃখিত। যদি আপনারা কেউ ওঁকে চিনে থাকেন তো আমায় ক্ষমা করে দিতে বলবেন।’