বাংলা টেলিভিশন জগতে অন্যান্য সব ধারাবাহিককে টেক্কা দিয়ে বর্তমানে প্রথম স্থানে রয়েছে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’। একটানা ৪৫ সপ্তাহ টিআরপি তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে এই ধারাবাহিক। পূর্বের তুলনায় প্রাপ্ত রেটিং পয়েন্ট কম হলেও ‘মিঠাই’-কে (Mithai) প্রথম স্থান থেকে সরানো সম্ভব হয়নি।
প্রথম স্থান দখল করে রাখতে ও তার সাথে দর্শকদের মন জয় করতে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যে একের পর এক চমক আসতেই থাকে। কয়েক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই মারা যান মিঠাইয়ের মা পার্বতী দেবী। মিঠাইয়ের মনখারাপের ভাগীদার হয়ে এই ঘটনায় দর্শকেরাও মুষড়ে পড়েন। তার রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই মোদক গ্রুপের নতুন মিষ্টির হাব খোলাকে কেন্দ্র করে সকলের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। নতুন খলনায়করূপে ওমি আগরওয়ালের ভূমিকায় অভিনেতা জন ভট্টাচার্য্য (John Bhattacharya) ধামাকাদার এন্ট্রি নিয়েছিলেন। ওমি আগরওয়াল ষড়যন্ত্র করে ময়রাদেরকে গায়েব করে দিয়েছিল। সমস্ত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে মিঠাই ও সিদ্ধার্থ তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এবারে মিষ্টির হাব সংক্রান্ত ঘটনা মিটতেই শ্রী ও রাতুলের সম্পর্কের চাপানউতোর শুরু হয়। পরিবারের মান রক্ষার্থে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও দুজনেই যে পরস্পরকে ভালবেসে ফেলেছে সে কথা কেউই মুখ ফুটে বলতে পারছিল না। আমেরিকার এক ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করার সুযোগ লাভ করে রাতুল।
পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদেশে থাকার ফলে সৃষ্ট দূরত্বের অজুহাতে ডিভোর্স করে নেওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। রাতুল বারবারই শ্রীকে জিজ্ঞেস করতে থাকে সে চলে গেলে শ্রী সবকিছু একা সামলে নিতে পারবে কি না, রাতুল যে আসলে পরোক্ষভাবে শ্রীয়ের বারণ শুনতে চাইছে সে কথা সকলে বুঝতে পারলেও শ্রী বুঝতে পারেনা। স্বাভাবিকভাবেই দুইজনের মাঝখানে সৃষ্টি হয় অভিমানের পাহাড়।
অবশেষে রাতুল এয়ারপোর্টের দিকে রওনা দিলে শ্রী আর নিজেকে সামলাতে পারেনা। মিঠাইকে নিয়ে অপটু হাতে গাড়ি চালিয়ে রাতুলকে আটকানোর উদ্দেশ্যে শ্রী-ও রওনা দেয় এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে। এরপরে মাঝরাস্তায় দুইজনের দেখা হলে ঠিক হিন্দি সিনেমার কায়দায় তারা পরস্পরকে প্রেম নিবেদন করে। ভিডিও কলে সমস্ত ঘটনা দেখে ঠাম্মা শ্রী ও রাতুলের আবার বিয়ে দেবেন বলে ঘোষণা করেন। সাথে সাথে সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলে মোদক বাড়ির বাকি সদস্যরা, নিজেরাও সেজেগুজে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য তৈরী হয়ে যায়। এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে এসে এইসব আয়োজন দেখে হতভম্ব হয়ে যায় শ্রী-রাতুল। এরপরে তাদেরকেও সাজিয়ে-গুছিয়ে তোলে সকলে মিলে। নাচ- গান- হইহল্লার মাধ্যমে সম্পন্ন হয় বিবাহ প্রক্রিয়া।
এর আগেও অনেক ধারাবাহিকে টিআরপি (TRP) তালিকার রেটিং পয়েন্ট বাড়ানোর জন্য ও দর্শকদের খুশি করার উদ্দেশ্যে বিয়ের বিষয়টিকে ব্যবহার করা হয়েছে। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র সিদ্ধার্থ এবং মিঠাই ইতিমধ্যে তিনবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। শ্রী-রাতুলের নতুনভাবে বৈবাহিক জীবনের এই সূত্রপাতে আপাতদৃষ্টিতে দর্শকরা ভীষণ উত্তেজিত ও আনন্দিত হয়েছেন। এবার দেখার অপেক্ষা এই চমক টিআরপি তালিকায় রেটিং পয়েন্ট বাড়াতে সহায়ক হয় কি না!