কথায় বলে ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। আর পড়াশোনা একটি সাধনার জিনিস। একাগ্রতা এবং মনের জোর থাকলে যে কোন বাধা কে দূর করে লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে যাওয়া যায়। তার জলজ্যান্ত প্রমাণ ভারতের তিন কৃতি সন্তান। তাদের নাম যথাক্রমে, আনসার আহমেদ, হাসান জসিফ এবং ময়াঙ্ক প্রতাপ সিং। তারা তিন জনেই ভারতবর্ষের সর্বকনিষ্ঠ আইপিএস আইএস অফিসার এবং আদালতের বিচারপতি।
প্রথমে আসি আনসার আহমেদ এর কথায়। ১৯৯৫ সালে জন্ম তার। ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে আইএএস অফিসার হওয়ার। ইচ্ছা অনুযায়ী পড়াশোনা চলছিল। মাঝপথে চলে এলো বিঘ্ন। পড়াশোনা ছাড়তে হবে এই বাবার কঠোর আদেশ। কিন্তু মাধ্যমিকে 91 শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করে ছেলেটি দেখিয়ে দেয় সে কোন অংশে কম নয়। একটি এনজিওর সাহায্যে পড়াশোনা চালিয়ে যায় সে। ইউপিএসসি পরীক্ষায় 331 স্থান অধিকার করে আনসার। তার এই সাফল্যে খুশি তার বাবা-মা থেকে গ্রামের সকল ব্যক্তিরা। সকলেই আনসারকে প্রাণভরে আশীর্বাদ করছেন এবং তিনি এখন গ্রামের ছেলে মেয়েদের কাছে আইকন।
এরপর আসি শফিন হাসান এর কথায়। সর্বকনিষ্ঠ আইপিএস অফিসার সে। জীবনে অনেক ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে তবে এই পথে আসতে পেরেছে অদম্য জেদ আর ইচ্ছা শক্তির জোরে। গরিব ঘরের ছেলে কিন্তু মেধাবী ছাত্র পড়িয়ে স্কুলের সমস্ত ফি মকুব করে দেন প্রিন্সিপাল।২০১৭ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষা ৫২০ স্থান অর্জন করে সে। বর্তমানে এলাকার গরীব দুঃস্থ মানুষদের নিয়মিত অর্থ সাহায্য করে এই আইপিএস অফিসার। ছেলেবেলায় রীতিমতো অর্থ কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। বর্তমানে নিজেই কয়েক হাজার ছেলেমেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব সামলান তিনি।
১৯৯৮ সালের রাজস্থানের জয়পুরে জন্ম মায়ানক প্রতাপ সিং এর। তার পিতা-মাতা দুজনেই উচ্চশিক্ষিত। পকেটে ছিল না টাকা। বাবা ছিলেন দিনমজুর। তাই কোন রকম কোচিং ছাড়াই ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেছিল সে। এক চান্সই বাজিমাত করে দেন এই ছেলেটি। দেশের সর্বকনিষ্ঠ জজ সাহেব তিনি।এমনই হাজার হাজার কাহিনী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আমাদের গোটা দেশজুড়ে। এই দেশে রত্নের তো অভাব নেই। কেবল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সকলের প্রচার লাভ করে না।